Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪

মাননীয় মন্ত্রী

মহিবুল হাসান চৌধুরী এম.পি.

মাননীয় মন্ত্রী

কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

 

জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল) ২৮৬, চট্টগ্রাম-০৯ (বাকলিয়া-কোতয়ালি) সংসদীয় আসনে বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ তারিখে তাঁকে মন্ত্রিপরিষদে নিযুক্ত করেন। বর্তমানে তিনি  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ১১ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে নিযুক্ত হন।

রাজনৈতিক পরিচয়

জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল একটি সম্ভ্রান্ত ও প্রথিতযশা রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা মরহুম আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন জাতীয় নেতা ও বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন পরীক্ষিত রাজনৈতিক সহকর্মী ছিলেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং চট্টগ্রামের প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে তিন-তিনবার বিজয়ী হয়ে জনকল্যাণে কাজ করে সারা দেশব্যাপী প্রশংসিত হন। জনাব এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের একজন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে শেখ ফজলুল হক মনির সহকর্মী ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও প্রতিবেশী দেশ ভারতে দীর্ঘদিন এই নৃশংস হত্যার রাজনৈতিক প্রতিবাদে অংশ নেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাথে নিবিড়ভাবে সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন।

পারিবারিক ধারাবাহিকতায় জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমে শৈশবেই সম্পৃক্ত হন। “আমরা রাসেল” নামক একটি শিশু-কিশোর সংগঠনে তিনি তাঁর পিতার উৎসাহে সম্পৃক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল হত্যার বিচারে শিশু-কিশোরদের সমাবেশ ও সৃষ্টিশীল কাজের সাথে যুক্ত হন। তিনি তাঁর পিতার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রমসমূহ দেখার এবং সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পান। পরবর্তীতে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসন এবং এক-এগারোকালীন সময়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির বিষয়ে যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ২০১২ সালে আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনকালে তাঁকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে সম্পৃক্ত করার জন্য যুবলীগ চেয়ারম্যান জনাব ওমর ফারুক চৌধুরী উদ্যোগী হন। অতঃপর ২০১৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে কার্যনির্বাহী কমিটিতে সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করেন। ২০১৬ সালের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ষোড়শ কাউন্সিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে ঢাকা বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। জনাব চৌধুরী ঢাকা বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন। নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের বিজয়ী হওয়ার পিছনে নিরলসভাবে কাজ করেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, শরীয়তপুর এবং ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। একটি প্রথিতযশা রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত রাজনৈতিক দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা এবং দায়িত্বশীলতার সাথে পালন করে যাচ্ছেন।